
এম,এস রানা উখিয়া ::
কক্সবাজার-টেকনাফ শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়ক সংস্কার কাজ মরণ যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে।
সড়ক সংস্কার কাজের ধীরগতির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি মায়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১৫লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। এসব রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও সংস্থার হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াতের কারনে সড়কে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে । যার ফলে সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন হলে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে সংস্কার কাজ চলে আসছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ঠিকাদার কোম্পানি গুলোর গাফিলাতির কারনে এখনো পর্যন্ত এক তৃতীয়াংশ কাজ বাকী রয়েছে । তাদের এই ধীরগতির কারণে প্রতিদিন উক্ত মহা সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যেন কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে যাতায়াতরত যাত্রীসাধারণ মরণ যন্ত্রণায় ভোগছে।ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল,মাদ্রাসা কলেজে যাতায়াত,এ্যাম্বুলেন্স চলাচলে,মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে পৌঁছাতে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়। অনেক সময়ে কোটবাজার হতে হিজলিয়া, ধুরুমখালী, সোনারপাড়া রোডের মনি মার্কেট ও ভালুকিয়া রোডের বৌদ্ধ মন্দির পর্যন্ত ১ কিলোমিটার যানজটের কবলে পড়ে। যাত্রীরা যথা সময়ে পৌঁছাতে প্রতিনিয়ত তীব্র গরম ও ধুলোবালিকে উপেক্ষা করে তাদের গন্তব্যে পৌছতে অনেককে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে দেখা যায়।বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার বানিজ্যিক ও ব্যস্ততম স্টেশন কোর্টবাজারে যানজটের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।স্টেশনের উভয় পাশে সড়ক সংস্কার কাজ অর্ধেক ঢালাই দেওয়ার পর অন্য পাশের কাজের প্রচন্ডতম ধীরগতির কারণে সোনারপাড়া রোড,ভালুকিয়া রোড সহ মহাসড়কের চলাচলকারী গাড়িগুলো জটলা লেগে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করছে।স্থানীয়দের মতে সিএনজি,টমটম সহ বিভিন্ন গাড়ির অদক্ষ চালকের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।যার ফলে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দল সারাদিন প্রচেষ্টার ফলেও যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে সমাপ্ত করার অতীব জরুরী। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারন।
পাঠকের মতামত